ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার আলোচিত এনামুল হক হত্যা মামলার আসামি মো. ফরহাদ মিয়া খলিলকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে কদম রসুল বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফরহাদ মিয়া খলিল ময়মনসিংহের নান্দাইল ভাটিচারিয়া মৃত আবদুল জলিলের পুত্র। এবং ওই হত্যা মামলার ২নং পলাতক আসামি। হত্যার পর সীতাকুণ্ডে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব জানায়, নিহত এনামুল হক ও ফরহাদ মিয়া খলিল একই বংশের লোক এবং পাশাপাশি বাড়ি। জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ভিকটিমের পরিবার ফরহাদ মিয়ার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ফরহাদের নেতৃত্বে ১২/১৫ জনের একটি দল রামদা, বল্লম, লোহার টেঁটা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে ১৩ মার্চ অতর্কিতভাবে এনামুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করে।
র্যাব আরও জানায়, এ সময় এনামুল হক প্রতিবাদ করলে ফরহাদ মিয়া তার হাতে থাকা লোহার টেঁটা দিয়ে এনামুলের ডান বাহুতে আঘাত করে। এতে এনামুল গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ফরহাদ মিয়ার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তার পরিাবরের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফরহাদ মিয়া খলিল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এনামুল হককে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে নন্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর এজাহার নামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এর এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে আসামি ফরহাদ মিয়া খলিল সীতাকুণ্ড থানাধীন কদম রসুল বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে খলিল জানায় গ্রেফতার এড়াতে তিনি সীতাকুণ্ডে আত্মগোপনে ছিল।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।