খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ৩নং কবাখালী ও ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সেই ১৯৮৪ সালের মডেলের ভবনে নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বসার আলাদা কক্ষ না থাকায় এক কক্ষে বসে অফিস করতে হয়। সম্মেলন কক্ষ ছোট পরিসরে হওয়ার ছোট করে করতে হয় সভা সমাবেশ। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সময়ের দাবী দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণ করা হউক।
কবাখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা বলেন, ১৯৮৪ সনের মডেলে তৈরি ইউনিয়ন পরিষদটি ৪০ বছর হয়ে গেছে। টিনের চাল হওয়া অনেক বার সংস্কার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দায়িত্ব থাকাকালীন সময় ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি ৩০ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর হতে পরিষদের জন্য ক্রয় করা নতুন জায়গাটি জরিপ করে মাপ-ঝোপও সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মাণ করা হলে নাগরিক সেবা প্রসারিত হবে। এতে করে এলাকার জনগণ বেশি উপকৃত হবে।
কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মফিজুর রহমান বলেন, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদটি নতুন জায়গায় নির্মাণ করা দরকার। নতুন মডেলের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অনেক কক্ষ বিশিষ্ট হওয়া এবং নাগরিক সেবার জন্য অনেক রকমের অফিস থাকে। এতে করে নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে অতি দ্রুত পৌঁছে যাবে।
৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ’র নামে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নামে নাম পরির্তনের জন্য নামজারীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। নতুন মডেলের ভবনটি নির্মাণ হলে নাগরিকরা এক স্থান থেকে সকল সেবা পাবে। সেবা পেতে সময় কম লাগবে। উপজেলা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এসে নাগরিক সেবা দিতে পারবে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারি অফিসারদের অফিস কক্ষ থাকলে কৃষকরা বিভিন্ন পরামর্শ পাবে।