‘ঘরের ভেতর সবকিছু তছনছ করে কিছু পায়নি’। বাড়ির পেছন থেকে অস্ত্র ও চোলাই মদ উদ্ধার করে আমার ছেলে সুজনকে আটক করে নিয়ে যান পটিয়া থানা পুলিশ।
বন্ধু মাহবুব, মঞ্জুর ও নুরুল ইসলাম নামে ৩ ব্যক্তি শত্রুতা করে ঘরের পেছনে অস্ত্র ও চোলাই মদ রেখে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। স্থানীয় লোকজনসহ সবার সামনে ঘরের পেছন থেকে অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করলেও এখন চার্জশিটে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে আমার ছেলের জীবন নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমি এর আইনগত প্রতিকার চাই।’
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ছেলের মুক্তির দাবি জানিয়ে এসব অভিযোগ করেন উপজেলার খরনা ইউনিয়নের কাগজী পাড়া গ্রামের ফরিদা বেগম।
ফরিদা বেগমের ছেলে সুজনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অস্ত্র ও চোলাই মদ রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। পরে পটিয়া থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলায় সুজনসহ বর্তমানে কারাগারে আছেন নুরুল ইসলাম নামে আরো একজন।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের স্ত্রী জেসমিন আকতার জুনু বলেন, ৪ সন্তানকে নিয়ে আমরা অনেক দুঃখ-কষ্টে আছি। আমার স্বামীকে মাহাবুব, মঞ্জুর ও নুরুল ইসলাম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়েছে।
তিনি বলেন, যেদিন পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করতে আসে সেদিন আমাদের বাসায় ভাত খায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা। তারা সু কৌশলে অস্ত্র ও চোলাই মদ বাড়ির পেছনে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এছাড়াও ওইদিন রাতে আমার স্বামী যাতে কোথাও পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য নুরুল ইসলাম আমার স্বামীর কোমরে হাত পেছিয়ে ধরে রাখে। আমার স্বামী নির্দোষ। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে আমার স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।