চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার মিলে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারখানাটিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। এ ছাড়া নৌ ও সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর পাড়ের চরলক্ষ্যা এলাকার ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, লামা বাজার, আগ্রাবাদ, চন্দনপুরাসহ বিভিন্ন স্টেশনের ১৩টি ইউনিট কাজ করলেও রাত ১১টা পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। এবং রাতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসারও কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন এখনো নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন ওই কারখানা থেকে ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। চিনি পুড়ে গলে গেছে, সেটি এখনো জ্বলছে।
জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর পাশে ইছানগর এলাকায় চিনি কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি সেখানে রাখা হয়েছিল। যেগুলো পুড়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানাটির কর্মকর্তারা।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এতো বড় দুর্ঘটনায় চিনি পুড়ে যাওয়ার কারণে রমজানের বাজারে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতি মাসে কম-বেশি ১ দশমিক ৩৫ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। তবে শুধু রমজান মাসে চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে ৩ লাখ টন হয়ে যায়। এ থেকে বোঝা যায় সাধারণ এক মাস এবং রমজান মাসের প্রায় আধা মাসের চিনি এই আগুনে পুড়েছে।