পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ভরাট করা হচ্ছে বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার চৌধুরী সুপার মার্কেট এর পিছনের শতবর্ষী দারোগা পুকুর। স্থানীয় পাঁচ শতাধিক জনসাধারণের ব্যবহারের পাঁচ একর আয়তনের এই পুকুরটি রাতের আঁধারে পাহাড়ি মাটি ও কৃষিজমির টপ সয়েল দিয়ে ভরাট করছে হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি।
পাহাড়ি মাটি কেটে পুকুর ভরাট নিয়ে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী দারোগা পুকুরটির এক তৃতীয়াংশ ভরাট করা হয়েছে। ভরাটকারীরা রাতে একই সাথে আট-দশ ট্রাক মাটি ফেলে চলে যায়। এভাবে প্রতিদিন ভরাট হচ্ছে পুকুরটি। তবে মাটিগুলো কোথা থেকে আনা হচ্ছে নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
ত্রিপুরা চরণের মালিকানাধীন পুকুরটি স্থানীয় জনসাধারণের নিত্যদিনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি ত্রিপুরা চরণের উত্তরাধিকারীরা পুকুরের আট শতক মালিকানা হুমায়ূনের কাছে বিক্রি করে দিলে নতুন মালিক পুকুরের পশ্চিমাংশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য ভরাট করা শুরু করে৷
অভিযোগ আছে- পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসহাকের তত্ত্বাবধানে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসহাক মাটি ভরাটের সাথে তার কোনরকম সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান।
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট তোফাইল বিন হোসাইন বলেন, দারোগা পুকুর ভরাটের বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানার পর প্রশাসনের লোক পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।