বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানি জন্য হাহাকার ছিল। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে সেই পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রাম সমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মিলনপুর পাহাড়ি এলাকায় ৩শতাধিক পরিবারের মাঝে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কোটি টাকা ব্যয়ে ঘরে ঘরে নিরাপদ পানি পৌঁছে দিয়েছে।
আগে ছড়া, ঝরনা, কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করত। শুকনো মৌসুম আসলেই ছড়া, ঝরনা, কুয়ার পানি শুকিয়ে যেত। পানির জন্য হাহাকার পড়ে যেত, অনেক দুর-দুরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করত।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, কবাখালী উত্তর মিলনপুরে ৩শতাধিক পরিবারের মাঝে নিরাপদ ২টি মোটর, ৮টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে ৪০ হাজার লিটার নিরাপদ পানি সরবরাহ করছে সরকার।
উত্তর মিলনপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিরাপদ পানি সুবিধা সুফল ভোগকরারী কমিটির সভাপতি মো. আবদুল খালেক বলেন, আমাদের এই পাড়ায় পানির অনেক সমস্যা ছিল। অনেক দুর দুরান্ত থেকে সুপেয় পানি এনে এলাকার লোকজন পান করত। কুয়া পানি ব্যবহার করত টিউবওয়েল একেবারেই কম ছিল। তার মধ্যেও যেকটি টিউবয়েল ছিল সেগুলোর পানিও ব্যবহার করা যেত না অতিরিক্ত আয়রনের কারণে। বর্তমান সরকার আমাদের এলাকায় গভীর একটি নলকূপ বসিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এখন আর এলাকার মানুষকে পানির জন্য হাহাকার করতে হবে না।
উত্তর মিলনপুর এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা রহিমা বেগম বলেন, আমাকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর উপহার দিয়েছে। রমজান মাসে পানির জন্য অনেক কষ্ট ছিল। এখন পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমার ঘরে পানি আসে। আমি শেখ হাসিনা সরকারকে অনেক দোয়া করি।
উত্তর মিলনপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ড পাহাড়ের উচুতে হওয়ায় পানির খুব সমস্যা ছিল। এলাকার লোকজন অনেক দূর থেকে পানি এনে ব্যবহার করত। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝিরি, ঝরনা, কুয়া শুকিয়ে যায়। বর্তমান সরকার গভীর নলকূপ স্থাপন করে ট্যাংঙ্কি বসিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানি পৌঁছে দিয়েছে।
কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা বলেন, কবাখালীর অনেক পাড়া ও গ্রাম পাহাড়ের উচুতে হওয়ায় নিরাপদ পানির সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে বসবাসরত পরিবারের মাঝে নিরাপদপানি পৌঁছে দিয়েছে। এতে করে পাহাড়ে মানুষগুলো সুফল ভোগ করতে পারছে।