বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ গ্রেফতার করে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আমিরুল ইসলাম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পল্টন থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম নগর যুবদলের সভাপতিসহ উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলার আরও পাঁচ নেতা সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ সদস্যরা ।
এদিকে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ আমিরুল হত্যায় কার ইন্ধন ছিল, সে বিষয়ে জানতে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে রিমান্ডে নিতে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটা বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমীর খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার যারা আসামি তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছে, এখনও আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আজ তাকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব। রিমান্ডে এলে কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে, কারা কারা ছিল স্টেজে, কারা ইন্ধন জুগিয়েছে, সেগুলো আমরা খুঁজে বের করে বাকিদের গ্রেপ্তার করব। ২৮ অক্টোবর এবং অবরোধের দিনগুলোতে যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি, আমরা শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
এর আগে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।






