চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল বাঙালির স্বাধীনতা ও শোষিত মানুষের মুক্তি।স্বাধীনতা উত্তর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে সমৃদ্ধির সোপানে পৌঁছনোর সময়েই বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যম দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেয় স্বাধীনতা বিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরাশক্তি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ড স্পস্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন’
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমএ সালাম আরও বলেন,‘আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অকল্পনীয়ভাবে দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের এই ধারা অব্যহত রাখতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখতে হবে।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। জাতীয় শোক দিবসের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যুবলীগের নেতৃত্বে গোটা যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’
এসময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেবল হত্যাকাণ্ডই নয়, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে এ ধরনের ন্যাক্কার জনক হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নই দেখেননি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন এবং পরিকল্পনা নিয়েছেন। শুধু বিপথগামী সেনাসদস্যরা নয়, কারা নেপথ্যে কুশীলব থেকে নৃশংসভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আজ জাতির সামনে প্রমাণিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আল মামুন, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, উত্তর জেলা যুবলীগের সহসভাপতি দীপক কান্তি দত্ত, শহীদুল আলম, নাছির হায়দার করিম বাবুল, আশেক এলাহী সোহেল ও মোশাররফ হোসেনসহ অন্যরা।
-মুক্তি৭১/জেএ