ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রির আজ তৃতীয় দিন। আগাম টিকিটের মতো ফিরতি টিকিট কাটতেও রয়েছে চাপ। গত দুদিনের মতো আজ তৃতীয় দিনেও প্রথম ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গের সব টিকিট। দ্রুত শেষ হয়েছে জামালপুর, নেত্রকোনা, যশোর, খুলনা, নোয়াখালী রুটের টিকিটও।
তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা থেকে যাওয়ার আগাম টিকিটের মতো ফিরতি যাত্রার ৩০ ভাগ টিকিট এখনও অবিক্রীত রয়ে গেছে। এদিনে ২৭ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি হয়।
সিলেট রুটে চলাচলকারী ৪ আন্তঃনগর ট্রেন- জয়ন্তিকা, কালনী, উপবন, পারাবত এক্সপ্রেসের ৫০০ টিকিট এখনও অবিক্রীত। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চট্টলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১২০০ সিট খালি ছিল।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
রাজশাহী থেক ঢাকাগামী সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিট সকাল ৯টার সময় শেষ হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকেট প্রথম এক ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায়।
ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের ঢাকাগামী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল বেশি। প্রথম ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট। ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটের ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির পার্টনার সহজ সিনোসিস ভিনসেন জেভির ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের আহমেদ বলেন, ঢাকাগামী মোট সিট রয়েছে ২৪ হাজার ৯৬৩টি। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ১৬ হাজার ৬৪৬টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যেসব টিকিট বিক্রি হয়নি সেগুলো বেশিরভাগ সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের।