রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ়, ১৪৩২, ১৮ জিলহজ, ১৪৪৬

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

বৃষ্টি হলেই ডুবছে চট্টগ্রাম, তাহলে জলাবদ্ধতাই কী নগরবাসীর নিয়তি ?

বৃষ্টি হলে পানি উঠে শহরে। সব সময় উঠে, এবারও উঠেছে। দু’তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, জল তো জমবেই। জল জমে জলজট, তারপর জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টি না হলেই বরং আমরা হা পিত্যেশ করি। এখন তো ভরা আষাঢ়, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার কথা। বৃষ্টির নিয়মে বৃষ্টি তো নামলো। কিন্তু আমাদের শহরে যে পানি চলাচল ব্যবস্থা, তাতে বৃষ্টির পানি সরে না, জমতে জমতে ভাসিয়ে দেয় চট্টগ্রাম শহর। প্রথমে রাস্তা, তারপর বাড়িঘর, অফিস-আদালত, দোকানপাট। ফলে শহর ভাসছে, আমরাও ভাসছি; চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের গুদামে পানি ওঠে ভাসছে পণ্য, বাড়িঘরে পানি ওঠে কত পরিবার যে পানির মধ্যে খাট-পালঙ, চেয়ার-টেবিল জড়ো করে উঁচু করে তার ওপর বসে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে-তার কোন ইয়ত্তা নেই। চুলা জ্বলছে না রান্নাও হচ্ছে না। অতএব পেট কুলহু আল্লাহু পড়লেও দানাপানি যে পড়বে না তা’ নিশ্চিত।
এখন চট্টগ্রামের মানুষের করণীয় কি? প্রতি বছর বর্ষা এলে জল জমে নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হওয়া, এটা তো সংবাৎসরিক চিত্র। ‘রাজা যায় রাজা আসে’, কিন্তু জলাবদ্ধতার কোন প্রতিকার হয় না। শুধু সরকারের পরিবর্তন হয়। নগরবাসীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। কেউ কথা রাখেনি।
যারা এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে গালভরা বুলি আউড়ে ভোট নেন; ভোট পেলে তাদের আর টিকিটিরও দেখা মেলে না। আম জনতাকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ভোটটা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলেই হলো। তারপর তো পগার পার। পাঁচ বছরের জন্য তারা কুরসিতে আসীন হয়ে জনতার কথা ভুলে যান। কেউ কথা রাখে না। তাহলে জলাবদ্ধতাই কী আমাদের নিয়তি? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কি কোন উপায় নেই চট্টগ্রামবাসীর ?
তা-ই যদি হয়ে থাকে তাহলে এইসব ভোট, নির্বাচন এগুলির দরকার কি? সিটি কর্পোরেশনেরও দরকার কি? সিডিএরও দরকার কি? মানুষ যেভাবে পারে বাঁচার পথ বেছে নেবে।
কাজটা তো সিটি কর্পোরেশনেরই করবার কথা। সরকার যখন চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বড় একটা তহবিলের জোগান দিচ্ছে, তখন সেটা সিটি কর্পোরেশনকেই তো দেয়া উচিত ছিলো। যেহেতু মানুষের কাছে তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হয়, সেহেতু ফান্ডটা তারাই পাক। তারা যদি করতে না পারে, মানুষ তাদেরকে ধরবে।
সিটি কর্পোরেশনকে ক্ষমতাহীন নিধিরাম সর্দার না করে চসিকের ক্ষমতা আরো বাড়ানো দরকার। সিটি গভর্ণমেন্ট-মহিউদ্দিন চৌধুরী যেটার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, সেটা এখন করা দরকার। তাহলে সিটি কর্পোরেশন নগর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও দপ্তরকে নিয়ে বসে সমন্বিত উপায়ে জলাবদ্ধতা

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সুলতান কুসুমপুরী ও তাঁর কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার আবু’র মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ১৩জন এমপি সম্মুখ যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারা সেনা কর্মকর্তাদের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধে তাদের গ্রæপকে কমান্ড করেন। এই ১৩ জন এমপি

বিস্তারিত »
প্রদ্যোৎ কুমার পাল

৭১-এর দুরন্ত গেরিলা প্রদ্যোৎ কুমার পাল

প্রদ্যোৎ কুমার একজন অসম সাহসী বীরের নাম। মুক্তিযুদ্ধে এই দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা দক্ষিণ চট্টগ্রামের রণাঙ্গণ মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর অসীম সাহস ও পরাক্রম দিয়ে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চারটি

বিস্তারিত »

দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ক্যান্টনমেন্ট বরকল, শাহজাহান ইসলামাবাদী জিওসি

মুক্তিযুদ্ধের এক কিংবদন্তী শাহজাহান ইসলামাবাদী। দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের তিনিই ছিলেন প্রধান নায়ক। কিংবা এভাবেও বলা যায়, তাঁকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ গড়ে উঠেছিল। তাঁর

বিস্তারিত »

স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অগ্রসৈনিক মিরসরাইর অহিদুল হক

অহিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে যে অসাধারণ বীরত্ব, অসীম সাহস ও শৌর্যবীর্যের পরিচয় দেন, তা মিরসরাই থানার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে জাতীয় মুক্তির

বিস্তারিত »
বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুফি শিল্পপতি মিজানুর রহমান ।

দার্শনিক শিল্পপতি সুফি মিজানুর রহমান পুরুষোত্তম

বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে দোহাজারীর বীর চতুষ্টয় : খসরু-জাফর-রতন-কামাল

চট্টগ্রামের সভ্যতা মানুষ ও নদীর যুগ্ম-সৃষ্টি। ঐতিহাসিক কাল থেকে চট্টগ্রামে তিনটি বড় নদী পরিদৃষ্ট হয়। সর্ববৃহৎ কর্ণফুলী, অনতিবৃহৎ হালদা ও শঙ্খ নদী। কর্ণফুলী সদর ও

বিস্তারিত »

ষাটের_দশকের_ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল আলম

কাজী সিরাজুল আলম ষাটের দশকের শেষদিকে চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা ছিলেন। ৬৯-৭০-এ তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর বাড়ি সীতাকুÐে; তিনি সীতাকুÐে ৬৯-এর

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে_চিকিৎসকদের অবদান ও ডা.শৈবাল কান্তি দাশ

মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভ‚মিকা নিরূপণের চেষ্টা করা হয়নি। তবে তাঁরা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা, বিশেষ করে গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধে সফল হওয়া মুস্কিল ছিল। ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি, ক্যাভালরি

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে এ কে খানের ভাই এম আর খান ও তাঁর তিন পুত্রের অন্তর্ধান দিবস

সে এক ঘোর অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিলো এই বাংলায়। সেই ঘন তমসা ভেদ করে স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষার প্রহর গুণে গুণে কত দুঃখিনি মায়ের প্রাণবায়ু বেরিয়ে

বিস্তারিত »