কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও উখিয়া থানা পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ময়নার ঘোনায় ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একটি টিম, পুলিশ ও অন্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়েছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু বাতাসের কারণে মুহুর্তেই আগুন আরেকটি ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।
কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে এগার নম্বর ক্যাম্পে আগুন লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি দশ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।
শেষ পর্যন্ত বেলা চারটা নাগাদ ছয় নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহমান জানান, বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে এবং এ কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ শুরু করে।
কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানিয়েছেন, তাদের আরও কয়েকটি ইউনিট এখন সেখানে কাজ করতে শুরু করেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে উখিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ছয়শো ঘর পুড়ে যায়।
এরপর মার্চ মাসে বালুখালীতেই আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে গিয়েছিলো।