চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুকে শোকজ করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির পূর্বের শোকজের জবাবের প্রতিফলন না হওয়ায় আবারও কারণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সভাপতি শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, ধারাবাহিক সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হওয়া, গঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ও পূর্বে প্রদানকৃত শোকজ নোটিশের জবাবের উপযুক্ত প্রতিফলন না হওয়ায় রেজাউল হক রুবেল (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও ইকবাল হোসেন টিপু (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) আপনাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের মুঠোফোনে কল করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই বিভিন্ন বগির নামে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাদের কারণে ছাত্রলীগের নির্দেশিত স্মার্ট ক্যাম্পাস নির্মাণ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের মধ্যে যারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আলাওলের হলের একটি কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের ব্রাদার্স ও মকু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ব্রাদার্স গ্রুপ। এর পরপরই গ্রুপ দু’টির মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে ও অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।