শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২, ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬

রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

মুক্তি৭১ ডেস্ক

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন তিনি।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাহাবুদ্দিন একমাত্র প্রার্থী। আজ বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে।

এর আগে সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলো জানায়, আগামীকাল সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে। প্রার্থী একজনই হলে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের পর তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা করা হবে।

১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। এরপর শুরু করেন রাজনীতি।

এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কলেজ জীবনে প্রবেশের আগেই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনায় তার সাক্ষাৎ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। ছাত্রলীগের সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।

১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।

পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষা দিয়ে বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।

বিচারালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান মো. সাহাবুদ্দিন। এরমধ্যে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তখনকার বিচারক সাহাবুদ্দিন।

২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকার মধ্যে সরকার তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব দেয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলের বাবা। তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা যুগ্ম সচিব ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি

শেখ মোজাফফর আহমদ একজন অনন্য পুরুষ। নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন তিনি। তাঁর জীবন এক বিরল প্রতিভাধর মানুষের উপমা। নানাদিকে বিকশিত হয়েছে তাঁর প্রতিভা; যখন যেদিকে

বিস্তারিত »

চট্টগ্রাম ডুবছে জলজটে—

চারদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর পানিতে ডুবে আছে। অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা, এমনকি রাস্তাঘাটও ভাসিয়ে পানি থৈ থৈ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরদোর খিল এঁটে গৃহকোণে

বিস্তারিত »

বঙ্গবন্ধুর সহচর, রাউজান আ. লীগের সহপ্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক

      তাঁর পিতা ওছমান আলী মাস্টার ছিলেন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বন্ধু; সেই সূত্রেই হয়তো মাস্টার পুত্র সন্তান লাভের পর তার নামকরণ

বিস্তারিত »

ষাটের দশকের বিপ্লবী ছাত্রনেতা ছাবের আহমদ আসগরী

  ষাটের দশকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পাহাড়তলী শাখাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংগঠনিক শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কারণ কেন্দ্র এবং শহর শাখা থেকে ঘোষিত সকল

বিস্তারিত »

চেরাগী পাহাড়ে হানাদার হানা

২৮ তারিখে তাও বাঙালি সৈনিকদের জন্য রসদ নিয়ে যাওয়ার সময় চেরাগির পাহাড়ের পাকিস্তানি নৌকমান্ডোদের অতর্কিত হামলায় ছাত্রনেতা বশরুজ্জামান চৌধুরী, জাফর আহমদ, দীপক বড়–য়া ও মাহবুবুল

বিস্তারিত »

১৩ এপ্রিলের শহীদেরা

১১ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কালুরঘাট সেতুতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে আটকা পড়েছিলো। তারপর উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের শান্ত পল্লীগুলিতে নরক ভেঙে পড়ে। ১৩ এপ্রিল রাউজানে

বিস্তারিত »

শহীদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকাণ্ড

সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হওয়ার পর এটা নিশ্চত হয়ে যায় যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি এবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যে কোন মূল্যেই তারা

বিস্তারিত »

৭১-এ চেরাগী পাহাড়ে ইউসিসে বোমা মেরেছিলেন দু’জন বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধা

ওসমান গণি চৌধুরী ষাট ও সত্তরের দশকের চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রাউজান থানার গহিরা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা আলহাজ্ব জহুরুল হক চৌধুরী ও

বিস্তারিত »

ওসিকে ‘মারধর’: চট্টগ্রামের ৩ আনসার, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সরানো হল

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পর তিন আনসার ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত সোমবার নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ৩১ আনসার

বিস্তারিত »