আবীরের ১৫ বছর বয়সী বোনকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকায় বঙ্গোপসাগরের যেখানে খন্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে সেটি পিবিআই সদস্যদের দেখিয়ে দিচ্ছেন আবীর আলী।
চট্টগ্রামে শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আবীর আলীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পুলিশের করা সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম অলি উল্লাহ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আবীরের বাবা আজাহারুল ইসলাম ও মা মোছাম্মৎ আলো বেগমের পাশাপাশি তার ১৫ বছর বয়সী বোনকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবীরের ছোট বোনকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজ দে বলেন, “আবীরের মা, বাবা, বোন তিনজনকেই এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালত তার ছোট বোনকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের উপস্থিততে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।”
গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। তার দাদা নাতনির সন্ধান চেয়ে পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করেন। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার।
২৫ নভেম্বর পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটিয়ার ১৯ বছরের ছেলে আবীর আলী। শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সে।
ওই দিন তাকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি, আয়াতের জুতা উদ্ধার করে। আর সেদিন রাতেই আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পিবিআইকে জানায়, মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণ করলেও কোথায়ও রাখার জায়গা না পেয়ে আয়াতকে খুন করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন আবীর। তারপর তিনি আয়াতের বাবার কাছে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করেন। সেজন্য একটি মোবাইলও কিনেছিলেন। আর আগে রাস্তায় কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সিম তার সংগ্রহে রেখেছিলেন। কিন্তু সেটা সচল না থাকায় ফোন করতে পারেননি।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় শনিবার প্রথম দফায় দুই দিনের হেফাজতে এনে আবীরকে নিয়ে শিশু আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে এ তদন্ত সংস্থা।