চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গরুর গোয়ালে মশা তাড়ানোর কয়েলের আগুনে ১৮টি বসতবাড়ি ও দুই গরু পুড়ে ছাই হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ইছানগর গ্রামের সৈন্যার গুষ্ঠির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস দমকল বাহিনীর এক ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসায় আগুন আশপাশে আর ছড়াতে করতে পারেনি।
জানা গেছে, পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলোতে অর্ধশতাধিক পরিবারের বসবাস ছিলো। যারা নিতান্তপক্ষে খুব অসহায় ও গরিব। এ সময় তাঁদের ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় দুটি গরু। যার আনুমানিক মূল্যও প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মো. ইসলামের গোয়াল ঘরে লাগানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই আগুন নিমিষে ছড়িয়ে পড়ে পাশের মো. তাহের, দিল আহম্মদ, আবুল হোসেন, মো. শুক্কুর, মো. সৈয়দ, আব্দুস সালাম, মো. টিপু, শাহ আলম, বদিউল আলম, আলা উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, মো. ফয়েজ, মো. ছবির, আব্দুল গণি, ওমর আলী, মো. রফিক, সোনা মিয়া ও মো. শুক্কুরের বাড়িতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শোয়াইব হোসেন মুন্সি। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই অনেকটা পুড়ে যায়। কারণ বাড়িগুলো বেঁড়া ও টিনের তৈরি ছিলো।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। এতে ১ লাখ মেট্টিক টন চিনি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৪ ঘন্টার মাথায় আবারও কর্ণফুলীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।