অহিংসা পরম ধর্ম, গৌতম বুদ্ধের শ্রেষ্ঠ বাণী ধারণ করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার দীঘিনালা বন বিহারে ২দিন ব্যাপি দানোত্তম কঠিন চীরব দান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) সকালে দীঘিনারা বন বিহারের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা বন বিহারের অধ্যক্ষ শুভবর্ধন মহাস্থবির। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা সংসদ সদস্য ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য মিস শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুন কান্তি চাকমা, দীঘিনালা বন বিহারের সভাপতি হেমান্ত প্রসাদ চাকমা, উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিজ সীমা দেওয়ান চাকমা, বন বিহারের অর্থ সম্পাদক জ্যোতি দেওয়ান প্রমুখ।
এতে উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে হাজার হাজার পূর্ণার্থী নারী-পুরুষ(উপাসক-উপসিকা)এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
ধর্মদের্শনা দেন সত্যমৈত্রী মহাস্থবির, ধীনমতি স্থবির, শ্রদ্ধরত্ন ভিক্ষু, বুদ্ধবংশ ভিক্ষু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, গৌতম বুদ্ধে চিরন্তর বাণী অহিংসা পরম ধর্ম বানী ধারণ করে জীবনে পূর্ণবান হওয়া যায়। সকল ধর্মের বাণী মানুষের মঙ্গলের জন্য। কোন ধর্মে নাই মানুষ হত্যা করা। মানুষ মানুষের মাঝে ভাতৃত্ব বোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়তে হবে। হিংসা বির্দেষ হানাহানি ভুলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। ধর্মীগুরুদের বাণী মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে।
সন্ধ্যায় হাজার মোমবাতি প্রজ্বলন ও ফানুস বাতি উত্তোলনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।