চট্টগ্রাম নগরে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের ওয়্যার হাউজ থেকে চুরি যাওয়া কোটি টাকা মূল্যের ১০১ রোল কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের সদস্যরা।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।
আটকরা হলেন- মো. আবুল বশর প্রধান, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ হৃদয়. মো. মাসুদ আলম প্র. পিচ্চি মাসুদ, মোহাম্মদ মুজিবুল হক, মো.ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ ভাণ্ডারী, মো. পারভেজ, মো. আলমগীর, মো. সামছুল আলম ও মো. আরিফুর রহমান চৌধুরী।
পিবিআই জানায়, রপ্তানিকারক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান বাকারসন্স গ্রুপের দি নিড অ্যাপারেলসের সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন পাচুরিয়া হুলাইন এলাকায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি বিজিএমই এর সদস্য এবং ১০০ শতাংশ রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করে। গত ২৬ আগস্ট সকালে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ওয়্যার হাউজে প্রবেশ করে দেখতে পান সংরক্ষিত আমদানি করা কাপড়ের রোলের অধিকাংশ নেই।
পিবিআই আরও জানায়, পরে গোডাউনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়- অজ্ঞাতনামা মুখোশধারীরা জানালার গ্রিল ভেঙে সু-কৌশলে ওয়্যারহাউজে ঢুকে আমদানি করা পণ্যগুলো বের করে পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছে। চোরদের ব্যবহৃত পিকআপ গাড়িকে অপর একটি সাদা রংয়ের পুরাতন মডেলের প্রাইভেট কার ও একটি সিএনজি গাড়ি পাহারা দিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
‘ঘটনার সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা পেছনের দিকে ছিলেন। এছাড়া সিসিটিভিতে গাড়ির নম্বরগুলো স্পষ্ট দেখতে পায়নি। এ সংক্রান্তে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় এবং বিজিএমই ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের জানানো হয়। এর মধ্যে চুরি যাওয়া ১৪৮ রোলের মধ্যে ১০১ রোল কাপড় নগরীর কোতোয়ালী থানার টেরীবাজারস্থ কাটপাহাড় লেন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
এ বিষয়ে সিএমপি কোতোয়ালী থানার মামলা করা হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মামলাটির তদন্তভার পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর উপর ন্যস্ত করে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো টিম নগরের বিভিন্ন স্থান ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও পাশ্ববর্তী ফেনী জেলার একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত ১০ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, আটকদের স্বীকারোক্তির পাশাপাশি পিবিআইয়ের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে পাঁচটি অংশ বিভক্ত হয়ে গার্মেন্টস পণ্য চুরি করছে তারা। নগরীর টেরিবাজারসহ আশপাশের মাকেটগুলোর ব্যবসায়ীরাই এসব চোরাই পণ্য ক্রয় করত। চক্রের আরও অন্তত ১০ জনকে নজরদারিতে রেখেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।