রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩ কার্তিক, ১৪৩২, ২৬ রবিউস সানি, ১৪৪৭

যুক্তরাষ্ট্র নাকি রাশিয়া কাকে বেছে নেবে ভারত

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদী /ছবি: এআই দিয়ে তৈরি।

মুক্তি৭১ ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে যা বলেন, কাজেও ঠিক তাই করেন তেমনটা নয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে সম্বোধন করে থাকেন। কিন্তু গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি ভারতকে কোনোভাবেই স্বস্তি দেননি।

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো ৫০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক কার্যকর হয়েছে এবং এর প্রভাবও কিন্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ২০ শতাংশ কমেছে এবং গত চার মাসে এই পতন ৪০ শতাংশ।

দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের পরিচালক অজয় শ্রীবাস্তব মনে করেন ট্রাম্পের শুল্ক নীতি আরোপের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত। এই বিশেষজ্ঞের মতে, আগামী মাসগুলোতে রফতানির ক্ষেত্রে এই পতনের পরিমাণ আরও বাড়বে।

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলতে শোনা গেছে, মোদী একজন মহান ব্যক্তি। তিনি ট্রাম্পকে পছন্দ করেন।

তারপর তাকে হাসতে হাসতে এও বলতে শোনা যায়, আমি চাই না আপনি অন্য কোনোভাবে ‘পছন্দ’ শব্দটাকে ব্যবহার করুন। আমি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাই না।

একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দাবি করতে শোনা যায়, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আপনারা জানেন এমনটা (তেল কেনা বন্ধ করার প্রসঙ্গে) হঠাৎই করা সম্ভব নয়। এর জন্য একটা প্রক্রিয়া রয়েছে যা শিগগির সম্পন্ন হবে।

ভারতের জন্য সমস্যা
ট্রাম্পের এই দাবির পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে যে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কি সত্যিই এমন কোনো আশ্বাস দিয়েছে? ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কারণে ভারতে মোদী সরকারকে দেশের ভেতরে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের কোনো নীতিগত পরিবর্তনের ঘোষণা কি এবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করছেন?

ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রাম্পকে ভয় পাচ্ছেন। আমরা ট্রাম্পকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার সিদ্ধান্ত নিতে এবং সে বিষয়ে ঘোষণা করতে দিচ্ছি।

অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, উপেক্ষা করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তা পাঠান। অর্থমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শার্ম এল-শেখে যাননি এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা করেননি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করা বা সে প্রসঙ্গে চুপ থাকা কিন্তু এত সহজ নয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দেন। জয়সওয়াল বলেন, আমি যতদূর জানি, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।

এর আগে রণধীর জয়সওয়াল আরেকটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ভারত তার ভোক্তাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এনার্জি ইম্পোর্ট বা জ্বালানি আমদানি সংক্রান্ত নীতি তৈরি করে।

কিন্তু তারপরেও শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবারো একই দাবি করতে শোনা যায়। তিনি আরও একবার উল্লেখ করেছেন, ভারত আর রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে না।

এদিকে ভারত কিন্তু সরাসরি বলেনি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল বলছেন। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার কোনো আশ্বাসও ভারত দেয়নি।

এ বিষয়ে অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন, ট্রাম্প এমন এক সময় এই দাবি করছেন যখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা চলছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র একটা শক্তিশালী দেশ। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি কিছু বলেন, তাহলে ভারতের মতো দেশকে তার জবাব দিতে গেলে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আমি মনে করি, জবাব দেওয়ার বিষয়ে ভারতের এখন একটু স্পষ্টতা রাখা উচিত।

রাশিয়া কিন্তু ইরান নয়
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যা দাবি করেছেন, সেই সংক্রান্ত ভিডিও এক্সে রিপোস্ট করে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব কানওয়াল সিব্বল লিখেছেন, এদের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এটাই সমস্যা। ট্রাম্প বিভ্রান্ত করেন। নিজের মতো করে কথার মানে করে নেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু ইরানকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায় না। স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়া ভারতের অংশীদার।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির নিবিড় পর্যবেক্ষক। তিনি লিখেছেন, ট্রাম্প দাবি করেছেন যে মোদী তাকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

তিনি বলেন, মার্কিন চাপের পর ভারত ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ইরান রাশিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু নয় এবং তখন ভারতের কাছে বিকল্প সরবরাহকারী ছিল, যা এখন আর নেই।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প যেভাবে জনসমক্ষে কথা বলছেন সেটা কিন্তু এই পুরো বিষয়কে আরও জটিল করে তুলছে।

ট্রাম্প এভাবে কথা বলছেন কিন্তু ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে চাইলে, তারা তা নিজেরাই করবে। ভারত কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে থাকে। তাই কেউ যদি প্রকাশ্যে ভারতকে বলে যে আপনি কোনো নির্দিষ্ট দেশ থেকে বিশেষ পণ্য কেনা বন্ধ করুন, তাহলে তা যে কোনো সার্বভৌম দেশের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্প শুধু ভারতকে আঘাত করছেন না, আন্তর্জাতিকভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার প্রথম মেয়াদকে মাথায় রেখে এটা অনুমান করা সম্ভব হয়নি যে তিনি এতটা যেতে পারেন।

ট্রাম্প এমন সব কাজ করছেন যা ডিপ্লোম্যাটিক প্র্যাকটিসের (কূটনৈতিক অনুশীলনে) ক্ষেত্রে দেখা যায় না। প্রতি দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে ভারত সম্পর্কে তিনি কিছু না কিছু বলতে থাকেন, যার জবাব দেওয়া ভারতের পক্ষে সহজ না।

গত সাত দশক ধরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক মজবুত ও স্থিতিশীল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন যে গত ৫০ বছরের বৈশ্বিক রাজনীতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে।

কোল্ড ওয়ারের সময়, ভারত নিজেকে জোট নিরপেক্ষ বলে অভিহিত করতো। তবে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছিল।

গত তিন দশকে রাশিয়ার সঙ্গে মহাকাশ, পরমাণু শক্তি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা বেড়েছে। এদিকে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা বিষয়ে রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরতা কমতে থাকে।

গত অর্থবর্ষে (যা চলতি বছরের ৩১শে শে মার্চ শেষ হয়েছে) ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য রেকর্ড ৬৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন (৬৮৭০ কোটি) ডলারে পৌঁছেছে। স্পষ্টতই ভারত আরও বেশি আমদানি করেছে।

মোট ৬৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের মধ্যে ভারতের মাত্র ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন (৪৯০ কোটি) ডলার মূল্যের রফতানি করেছে।

ভারতে রাশিয়ার বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, ফার্মা, ব্যাংকিং, রেলওয়ে এবং ইস্পাত। রাশিয়ায় তেল, গ্যাস ও ওষুধ শিল্পেও ভারতের বিনিয়োগ রয়েছে। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল পায়। তবে দামের পার্থক্য প্রতিনিয়ত কমছে।

ব্লুমবার্গ-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে বেঞ্চমার্ক ক্রুডের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে আড়াই ডলার কমে তেল পাচ্ছিল। তবে ২০২৩ সালে এই পার্থক্য ব্যারেল প্রতি ২৩ ডলারেরও বেশি ছিল।

বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েল হলো অপরিশোধিত তেলের একটা স্ট্যান্ডার্ড বা রেফারেন্স গ্রেড যা অন্যান্য তেল এবং তেলভিত্তিক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হওয়া গত আর্থিকবর্ষে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ছাড় হ্রাসের কারণে, তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারত মাত্র ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন (৩৮০ কোটি) ডলার সাশ্রয় করেছে।

অন্যদিকে রফতানির দিক থেকে ভারতের কাছে রফতানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭ বিলিয়ন (৮৭০০ কোটি) ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। ভারতের জন্য বিষয়টা মোটেই সহজ নয়।

মোদী যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখেন তাহলে তা সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি করবে। আর তিনি যদি ওই তেল কেনা বন্ধ করে দেন, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে যে পুরনো বন্ধুত্ব রয়েছে, তার ওপর থেকে আস্থা কমে যাবে।

ব্লুমবার্গ ইকোনমিক্স-এর তথ্য বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত শুল্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ৫২ শতাংশ হ্রাস হতে পারে এবং তা মাঝারি মেয়াদে ভারতের জিডিপি শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস করতে পারে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড হিসাব অনুযায়ী, ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয় তবে বার্ষিক আমদানি বিল চার বিলিয়ন ডলার থেকে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন (৬৫০ কোটি) ডলার হয়ে যেতে পারে।

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন (১৯৮০ কোটি) ডলার মূল্যের তেল আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ে, ভারত রাশিয়া থেকে ২২ দশমিক ৩ (২২৩০ কোটি) বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল আমদানি করেছিল। অর্থাৎ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি গত বছরের তুলনায় এরই মধ্যে ১১ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের তেল আমদানি দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন (২৮০ কোটি) ডলার মূল্যের অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছিল, তবে এই বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে তা বেড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

চীনে বিভিন্ন অভিযোগে এক সপ্তাহে ৩০ ‘খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী’ গ্রেপ্তার

চীনে বিভিন্ন অভিযোগে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সন্দেহভাজন ধরপাকড় বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ৩০ জন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া

বিস্তারিত »

ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না বলে কথা দিয়েছে: ট্রাম্প

ভারত আর রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে না বলে কথা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটিই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও জানিয়েছেন,

বিস্তারিত »

ভারতে ‘ফিনাইল’ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৫ ট্রান্সজেন্ডার

ভারতের মধ্যপ্রদেশে অন্তত ২৫ জন ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরকামী) একসঙ্গে ‘ফিনাইল’ পান করেছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ইন্দোর শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে

বিস্তারিত »

হত্যাকাণ্ড জারি রেখেছে, গ্রেপ্তারও করছে ইসরায়েলিরা

গাজার শুজাইয়া অঞ্চলে হামলা চালিয়ে আরও দুই ফিলিস্তিনিতে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলমান অবস্থায় উপকূলীয় এই

বিস্তারিত »

ওডেসার মেয়রের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলেন জেলেনস্কি

কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় বড় শহর ওডেসার মেয়র জেনাডি ত্রুখানোভের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ত্রুখানোভের রাশিয়ার পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে

বিস্তারিত »

ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম

বিস্তারিত »

১৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল, রামাল্লায় পৌঁছেছে দুই বাস

গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর এবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক ১ হাজার ৯৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের বহনকারী

বিস্তারিত »

মিসরে বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

  বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতার উপস্থিতিতে হামাস-ইসরাইল শান্তি পরিকল্পনা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিসরে শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এ

বিস্তারিত »

ভেনেজুয়েলার ‘গণতন্ত্রের মশালবাহী’ নেত্রী মারিয়া পেলেন শান্তির নোবেল

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা শেষে সম্মাননাটি পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ

বিস্তারিত »