সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত ৬ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত এই যোদ্ধারা সবাই মার্কিন মিত্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর যোদ্ধা। সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) এই হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি।
সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল-জোর প্রদেশের আল-ওমর তেলক্ষেত্রে তাদের কমান্ডো একাডেমিতে আঘাত হানা হয়েছে। এই হামলার জন্য তারা ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের অভিযুক্ত করেছে। তাদের দাবি, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত নিকটবর্তী এলাকা থেকে এই ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এছাড়া ইরান-সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করেছে, তারা রোববার ঘাঁটিতে হামলা করেছে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়ায় প্রায় ৮০০ সৈন্য রয়েছেন। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলার পর কোনও মন্তব্য করা হয়নি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে মারাত্মক ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় সপ্তাহান্তে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা চালানোর পর সোমবার এই হামলার ঘটনা ঘটল। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে, গত শনিবার সিরিয়ায় তাদের মিশন সাপোর্ট সাইট ইউফ্রেটিস-এ একটি রকেট হামলা হয়েছে, তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক জোটের সমর্থনে ২০১৯ সালে আইএসকে পরাজিত করার পর থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস। হামলার পর এক বিবৃতিতে এসডিএফ বলেছে, হামলায় তাদের ছয়জন ‘কমান্ডো যোদ্ধা’ নিহত হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেছে, ‘ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীরা সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকা দেইর আল-জোরকে সন্ত্রাসী হামলার মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করছে।’
এসডিএফ এই হামলার নিন্দা করেছে এবং ‘যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার’ তাদের আছে বলে দাবি করেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ১০৮তম বিদ্রোহী হামলায় সাত এসডিএফ কমান্ডো নিহত এবং আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন।