
চেনা আঙিনায় ম্যাচ জুড়ে রাজত্ব করল বার্সেলোনা। সুযোগও পেল অনেক। কিন্তু কখনও নিজেদের ব্যর্থতায়, কখনও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলের আগল খুলতে পারল না তারা। জিরোনার বিপক্ষে পয়েন্ট হারাল শাভি এর্নান্দেসের দল।
কাম্প নউয়ে সোমবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
গত শনিবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হারে বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আসে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার। কাজে লাগাতে পারল না তারা।
২৮ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
এই মাঠেই গত বুধবার কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে বিদায় নেয় বার্সেলোনা।
জয়ে ফেরার লড়াইয়ে পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে আনসু ফাতি বক্সে ঢুকে পাস দেন রবের্ত লেভানদোভস্কিকে। পোলিশ ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের শটে বল ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর এই তারকার হেডও বাইরে দিয়ে যায়।
নবম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল প্রায় খেতে বসেছিল জিরোনা। তাদের ডিফেন্ডার সান্তিয়াগো বুয়েনো ব্যাক পাস দেন গোলরক্ষক পাওলো দিনোর উদ্দেশ্যে, কিন্তু তিনি ততক্ষণে অনেকটা এগিয়ে আসেন পোস্ট ছেড়ে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় পেছনে ফিরে শেষ মুহূর্তে স্লাইডে দলকে বিপদমুক্ত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
৩৬তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় বার্সেলোনা। দুরূহ কোণ থেকে রাফিনিয়ার প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক।
ওই কর্নার থেকে রোনাল্দো আরাউহোর ক্লিকে জালে যাচ্ছিল বল। এবারও দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছে ভেবে আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। রিপ্লে দেখে ধারাভাষ্যকারও বলছিলেন, হয়তো গোল হতে পারে।
লা লিগায় গোললাইন টেকনোলোজি নেই। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। রাফিনিয়ার ফ্রি-কিকে এরিক গার্সিয়ার হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
৫৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন জিরোনার কাস্তিয়ানো। সতীর্থের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান তিনি। তার সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক, কিন্তু বল বাইরে মারেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
৭৮তম মিনিটে সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। সের্হিও বুসকেতসের থ্রু বল বক্সে পান তিনি। সেখানে তাকে রুখে দেন জিরোনার ডিফেন্ডাররা।
পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আরেকবার বার্সেলোনার সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান জিরোনা গোলরক্ষক। কর্নারে গাভির হেডে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি। একেবারে শেষ মুহূর্তে লেভানদোভস্কির ব্যাকহিল ফ্লিক রক্ষণে প্রতিহত হলে পয়েন্ট হারানোর হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় শাভির দলকে।