বান্দরবানে সদর উপজেলায় রাজবিলা ইউনিয়নে এক নারীকে হত্যার পর ‘সন্ত্রাসীরা’ তার স্বামীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
বান্দরবানের সুপার জেরিন আক্তার জানান, বুধবার ভোর ৩টার দিকে উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে রাজবিলা ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিংম্যানু মারমা (২৮) ওই ওয়ার্ডের থংজমাপাড়ার রেথোয়াই মারমার স্ত্রী। রোথোয়াই স্থানীয় একটি বাদক দলে (ব্যান্ড পার্টি) বাঁশি বাজাতেন।
রাজবিলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুইসাচিং মারমা বলেন, “রেথোয়াই মারমা ভোর ৩টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে মারা হচ্ছে। আর তাকে একদল সন্ত্রাসী ধরে নিয়ে যাচ্ছে; হয়ত তাকেও মেরে ফেলবে।”
মাত্র বিশ সেকেন্ড কথা বলার পর রেথোয়াইয়ের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মোবাইলে আবার ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় বলে সুইসাচিং মারমার ভাষ্য।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় নিহত সিংম্যানু পরনের কাপড় এলোমেলো হয়ে আছে। তার বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“রাতে রোথোয়াইয়ের ঘরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনলেও ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। পাড়াবাসীরা সবাই আতঙ্কে রয়েছে।”
স্থানীয় আরেক জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ঘটনায় ‘মগ ন্যাশন্যাল লিবারেশন পার্টির’ সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা।
বান্দরবানের সুপার জেরিন আক্তার বলেন, “নিহত সিংম্যানু মারমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।”
পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে জানিয়ে বান্দরবান সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম