প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র আরও জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।
এ উপলক্ষে প্রায় ১৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রীদের জন্য পরিবহন পুলে নতুন গাড়িও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন সে তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভায় পুরোনোদের মধ্য থেকে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রাখা হতে পারে। নতুন মুখ থাকবে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ।
সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শপথ অনুষ্ঠান করতে হয়। এরপর কতদিনের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে হয় এর সাংবিধানিক কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর, গেজেট ২ জানুয়ারি আর মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে ৬ জানুয়ারি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। এরপর ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশের পর ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন হয়। আর ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর পহেলা জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ হয়ে ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।
কিন্তু গেলো তিন টার্মের কিছুটা ব্যতিক্রম হচ্ছে এবারের মন্ত্রিসভার শপথ। সংসদ সদস্যদের শপথের একদিন পরই মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবারের মন্ত্রিসভায় পুরোনো থেকে ৪০ শতাংশের বেশি থাকতে পারে। আর বাকি অংশে চমক দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯টি আসনে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।