অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মালয়েশিয়ার কাছে হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মান বাঁচিয়েছে অলরাউন্ডার আফিফ। তার ঘূর্ণি জাদুতে ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে সাইফ হাসানের দল। তাতে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) জিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নামা মালয়েশিয়াকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৪ রানের বেশি তুলতে দেয়নি টাইগাররা। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। এরপর ওপেনার সাইদ আলী মোবারক ৩১ বলে ২০ রান করে ফেরেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে ভিরানদিপ সিং বিজয় উন্নিকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তারা দু’জন দলকে ৭২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান।
এরপর আইনুল হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে আবারও জ্বলে ওঠেন ভিরানদিপ সিং। ১১২ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তারা। কিন্তু ১৯ এবং ২০ তম ওভারে গিয়ে রিশাদ এবং আফিফ হোসেন সেট হওয়া দুই ব্যাটারকে তুলে নিলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়।
ভিরানদিপ সিং করেছিলেন ৩৯ বলে ৫২ রান। ম্যাচের শেষ ওভারে চতুর্থ বলে তাকে আউট করে দেন আফিফ হোসেন। তার আউটের পরই মূলত বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। মালয়েশিয়া ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ১১৪ রান।
আফিফের করা ম্যাচের শেষ ওভারে মালয়েশিয়ার দরকার ছিল মাত্র ৬ রান। দুর্দান্ত বোলিং করে আফিফ শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। মোট ৪ ওভার বল করে ১১ রান নিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফিফ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোর বোর্ডে ৩ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ০, পারভেজ হোসেন ইমন ০ ও জাকির হাসান ১ রান করেন।
পরে অবশ্য অধিনায়ক সাইফ হাসান আর আফিফের ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় টিম টাইগার্স। কিন্তু ১৪ বলে সমান দুটি করে চার-ছক্কায় ২৩ রান করে পবনদীপ সিংয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫২ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন সাইফ। এ ছাড়া শাহাদাত হোসেন দীপু ২৬ বলে ২১ ও জাকের আলী অনিকের ১৪ বলে ১৪ রান করেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে মালয়েশিয়ার হয়ে পবনদীপ সিং ২টি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া বিজয় উন্নি ও আনোয়ার হোসেন পান একটি করে উইকেট।