ইসরায়েলি ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করতে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল সংস্থা ইউনিয়ন অব ইউরোপীয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইউইএফএ) কে চিঠি পাঠিয়েছে ‘অ্যাথলিটস ফর পিস’ নামের সংগঠন। এ সংগঠনের সঙ্গে ৭০ জনেরও বেশি ক্রীড়াবিদ ও মানবাধিকার সংগঠন যুক্ত রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা, বর্ণবৈষম্য ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে এ চিঠিতে।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দার চেফেরিনের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যে কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে এমন একটি রাষ্ট্রের স্থান নেই, যারা গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। ইসরায়েলকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির মঞ্চে স্বাগত জানানো মানে অপরাধকে বৈধতা দেওয়া।
চিঠিতে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে বর্ণবৈষম্য নীতি অনুসরণকারী দক্ষিণ আফ্রিকা, যুদ্ধপরবর্তী জার্মানি, যুগোস্লাভিয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়াকে ফুটবল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই ইসরায়েলকে স্থগিত করাও কোনো ব্যতিক্রম হবে না বরং নৈতিক ও আইনি দৃষ্টিতে অপরিহার্য।
এই উদ্যোগে যেসব তারকা ফুটবলার যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী পল পগবা, মরক্কোর হাকিম জিয়েখ, ডাচ তারকা আনোয়ার এল ঘাজি এবং স্পেনের আদামা ট্রাওরে।
এছাড়া মানবাধিকার সংগঠন হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশন ও গাজা ট্রাইব্যুনালও চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে।
ইউইএফএ-কে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি থেকে ক্লাবগুলোকে তাদের পেশাদার লিগে খেলতে দিচ্ছে না যা ফিফার নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ইউইএফএ যদি ইসরায়েলি দলগুলোকে অর্থায়ন ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে থাকে তবে তারাও এই অপরাধে পরোক্ষভাবে দায়ী হতে পারে।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪২১ জন ফুটবলারও রয়েছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্টেডিয়াম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ প্রায় সবই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।সূত্র : আল জাজিরা








