১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতা লাভের আনন্দ উল্লাসে উত্তাল, তখনো গোটা জাতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল। ২৫ দিন পর তথা ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। সেদিনই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। সেই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে।
১৯৭১-এর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে এর পরপরই পাকিস্তানের দখলদার বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের লায়ালপুর কারাগারে বন্দী করে রাখে। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান দম্ভভরে ঘোষণা করেছিলেন, ‘বিনা শাস্তিতে শেখ মুজিব পার পাবেন না’। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার চারদিন পরই ইয়াহিয়া গদিচ্যুত হন। ক্ষমতায় আসেন জুলফিকার আলী ভুট্টো।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্মৃতিচারণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করা চট্টগ্রামভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’র পক্ষ থেকে ১০ জানুয়ারি বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পংকজ কুমার দস্তিদার, অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, কিরন লাল আচার্য, এমরান মিয়া চৌধুরী, উদয়ন নাগ, ফজলুল হক চৌধুরী, বিমল দাশগুপ্ত, বিজয় ধর, মো. ইমতিয়াজ ফারুকী, আমিনুল ইসলাম লিটন, মো. জসিম উদ্দিন, আজম খান, ফিরোজ আহমেদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।