কথায় আছে, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’। আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে অবশ্য সবটুকুই ভালো হয়ে যায়নি। তবে ব্যাটিংয়ের হতাশা যেটুকু ছিল, তার অনেকটা তারা ঘুচিয়ে দিতে পেরেছে বোলিংয়ের শুরুতে। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে তারা যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে, সেটিই তাদেরকে লড়াইয়ের প্রেরণা জোগাচ্ছে পরের দিনের জন্য।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় স্রেফ ২১৪ রানে। উইকেট যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক। এই ২২ গজে এত অল্প রানে গুটিয়ে গেলে ম্যাচে ফেরা কঠিন। বোলারদের কাছ থেকে তখন প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছুর। তবে আইরিশ বোলাররা ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমন কিছুরই।
ব্যাটিং হতাশার রেশ পেছনে ফেলে বোলিংয়ের প্রথম ওভারেই তারা দেখা পায় উইকেটের। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে দেন মার্ক অ্যাডায়ার। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে জুটি গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যান তামিম ও মুমিনুল হক। তবে দিনের শেষ বলে অভিজ্ঞ ওপেনারকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কা দেন অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন।
বাংলাদেশ দিন শেষ করে ২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে।
এটিকে আইরিশদের জন্য বড় প্রাপ্তি হিসেবেই মানছেন ফিফটি করা হ্যারি টেক্টর। এই সাফল্যকেই দ্বিতীয় দিনে লড়াইয়ের পাথেয় করে নিতে চান তারা।
“এটি (দিনের শেষ বলে উইকেট) অসাধারণ। এটি ছিল অবিশ্বাস্য। আমার মনে হয়, এর ফলে দিনটি অনেকটা সমতায় চলে এসেছে। আমরা অবশ্যই ব্যাট হাতে ভালো করতে পারিনি। তবে আজকে ২ উইকেট নেওয়া দারুণ ছিল। এটি কালকের জন্য আমাদের অনেক মোমেন্টাম দেবে।”
“বিশেষ করে (তামিমের) ওই আউট… যেভাবে বলটি স্পিন করেছে, আমাদের জন্য এটি ভালো দিক। কারণ আশা করি, এই উইকেটে বাংলাদেশকে শেষে ব্যাটিং করতে হবে। তো এটি দুর্দান্ত ছিল।”
টেক্টরের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল ইসলামও বলেন, শেষ বলে তামিমের উইকেট স্বাগতিকদের কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে।
“এটা আসলে এমন সময় উইকেটটা পড়ছে যে, আমরা একটু ব্যাক ফুটে। ব্যাক ফুটে বলব না ঠিক, এমন সময়ে হতে পারে (আউট)। কিন্তু এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ওদেরকে একটা বড় স্কোর দিতে চান, এখন একটা বড় জুটি লাগবে।”-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম