দক্ষিণকাট্টলী ডা: ফজলুল-হাজেরা ডিগ্রী কলেজের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিথযশা চিকিৎসক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ডাঃ ফজলুল আমীন এর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১১ টায় কলেজ মাঠে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, মরহুম ডাঃ ফজলুল আমীন প্রতিকুলতার সাথে কঠোর সংগ্রাম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তৎকালীন অবহেলিত, অন্ধকারাচ্ছন্ন, পশ্চাদপদ সমাজেজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনিছিলেন একজন সমাজ সেবকের প্রতিচ্ছবি। গরীব ও অসহায় রোগীদের জন্য তিনি আশ্রয়স্থল ছিলেন। তিনি চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে একদিকে মানুষকে যেমন রোগ মুক্ত করেছিলেন আবার একটিশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যা হবে নতুন প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ। এলাকায় উচ্চ শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি কাজ করেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে দক্ষিণ কাট্টলীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাইমারী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো। ডাঃ ফজলুল-হাজেরা ডিগ্রী কলেজ তাঁরই অক্লান্ত পরিশ্রম ও অসাম্যন্য অবদানের পরিচয় বহন করে চলছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার নাথ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ আলম,কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, মরহুম ডাঃ ফজলুল আমীন এর কনিষ্ঠ পুত্র এবং কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ডাঃ মোঃ আরিফুলআমীন। কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জনাব পপিসাহা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব শারমিনা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মনোজ কুমার দেব। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেনকলেজেরহিসাববিজ্ঞানবিভাগেরসহকারীঅধ্যাপকজনাব মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব তাহমিনা বেগম। স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাফর, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর মিয়া,কাউন্সিলর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাঈল, জনাব আনোয়ার চৌধুরী, জনাব নেজাম উদৌলা চৌধুরী, বাবু নারায়ন বৈষ্ণব, বাবু নারায়ন মজুমদার এবং ডাঃ ফজলুল আমীন এর দৌহিত্র জনাব ফয়সাল আমীনপ্রমুখ। মরহুম ফজলুল আমীন এর পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন ডাঃ আরিফুল আমীন।
প্রধান বক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, তিনি গরীব রোগীদের থেকে ফিস নিতেন না। প্রয়োজনে ঔষধপত্র ও দিয়ে দিতেন। তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেবাধর্মকে নিজের জীবনের ব্রত হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন। মানুষের সেবার মধ্যেই ছিল তার সুখ। প্রতিদান হিসেবে তিনি পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা, স্বীকৃত হয়েছেন মানব বন্ধুরূপে। স্মরণ সভায় কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচীতে ১০ মার্চ শুক্রবার সকাল ০৯ টায় মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জেয়ারত ও ফাতেহা পাঠ ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত ছিল।